যাত্রাবাড়ী থানার আরিফ খান হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ডের সপক্ষে আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। আর রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন শাজাহান খানের আইনজীবীরা।
শাজাহান খানের একজন আইনজীবী আদালতকে বলেন, তাঁর মক্কেল আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর দাদাও ব্রিটিশ আমলে নেতা ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী যখনই ‘আটবারের সংসদ সদস্য শাজাহান খান’ উচ্চারণ করেন, তখন আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী একদল আইনজীবী বলতে থাকেন, ‘ভুয়া এমপি শাহজাহান।’
এ পর্যায়ে পিপি ওমর ফারুকী আদালতকে বলেন, শাজাহান খান অন্য দলে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ এসে প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদ পেয়েছেন। তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম সহযোগী। পিপির বক্তব্য শেষ হওয়ার পর শাজাহান খান হাত তোলেন। কথা বলার জন্য তিনি আদালতের কাছে অনুমতি চান।
আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর শাজাহান খান বলেন, ‘আমার হার্টে পাঁচটি ব্লক। আমি অসুস্থ। আমাকে দুবার হাসপাতালে যেতে হয়েছে। যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতেই হয়, তাহলে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হোক।’
শাজাহান খান যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন একদল আইনজীবী আদালতকে বলতে থাকেন, ‘উনি পুলিশকেও মারার কথা বলেছেন।’এ সময় আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়।
পিপি ওমর ফারুকী আদালতকে বলেন, ‘আদালতের পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব যেমন আইনজীবীদের, তেমনি আসামিদেরও। আসামিরা এমন কোনো কথা বলবেন না, যাতে আদালতের পরিবেশ নষ্ট হয়।’
পিপির কথা বলার সময়ও একদল আইনজীবী হট্টগোল করতে থাকেন। শাজাহান খানকে নানা কটূক্তি করতে থাকেন।তখন শাজাহান খান আদালতকে বলেন, ‘আমরা কি কথা বলতে পারব না? আমাদের কি কথা বলার কোনো অধিকার নেই?’
শাজাহান খানের বক্তব্যের পরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত কথা বলতে শুরু করেন। তানভীর আদালতকে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করি।’
‘ছাত্রলীগ’ শব্দ উচ্চারণ করার পরপরই একদল আইনজীবী বলতে থাকেন, ‘জঙ্গি ছাত্রলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ।’ এ সময় তানভীর তাঁর কথা বলতেই থাকেন। তখন আইনজীবীরা ‘জঙ্গি ছাত্রলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।