গেল রমজানের মধ্যেই প্রতিদিন তারাবির নামাজ বাদ দিয়ে রাত ১২-১ টা পর্যন্ত প্রধান প্রকৌশলীর বদলি বানিজ্য এর সহযোগী নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আর প্রসাসনিক কর্মকর্তা মো আজিমুদ্দিন এর সাথে গভীর রাত পর্যন্ত অফিস বসে বদলির তালিকা তৈরি, বিভিন্ন টেন্ডার বানিজ্য ও অর্থ সংগ্রহের মত অনিয়মের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছেন সরকারি অফিসে।
বদলি করা হয়েছে সহকারী প্রকৌশলী —২৭ জন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী —৪০ জন কর্মচারী (নন-টেকনিক্যাল) —২৯ জন,সর্বমোট—৯৬ জন। নির্বাহী প্রকৌশলী বদলি ৩১ জন,সহকারী প্রকৌশলী —২৭ জন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী —৪০ জন,কর্মচারী (নন-টেকনিক্যাল) —২৯ জন,সর্বমোট—১২৭ জন।
অভিযোগ রয়েছে, দ্বায়িত্ব নিয়েই সকল বিভাগে রাজনৈতিক সফরের মত প্রধান কার্যালয় থেকে ১০ টি গাড়ি নিয়ে পনের জন অফিসার নিয়ে প্রতি বিভাগে ৩০০ জন প্রকৌশলী, ঠিকাদার নিয়ে জনসভা করেন। আর ইঞ্জিনিয়ারদের ভি,আই,পি হোটেলে থাকা,হল ভাড়া, গাড়ির তৈল সহ প্রতি সমাবেশে খরচ করেছেন ১২ লক্ষ টাকা।
ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট,বরিশাল, ফরিদপুর, খুলনা,রাজশাহী,বগুড়া,এবং রংপুর মোট দশটি সমাবেশে নামে হাতিয়েছেন এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা। সুত্র বলছে, সরকারের একটি টাকাও বরাদ্দ না থাকলে ও এসবই করেছেন চাঁদাবাজি করে।
সরকারের অফিস টাইম ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত হলেও মো: আলতাফ হোসেন রাত ১২ থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত অফিসে বসে পরিকল্পনা করতেন নানা অনিয়মের। এতে ফুসছে শিক্ষা প্রকৌশল এর সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। অভিযোগের বিষয় জানতে মো. আলতাফ হোসেনের মোবাইল ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।