
পৃথক তিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এ আদেশ দেন। এর মধ্য দিয়ে সব মিলিয়ে আনিসুল হকের ৫১ দিনের, সালমান এফ রহমানের ৫৮ দিনের ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের ৯৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলো।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় করা রাসেল হত্যা মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে আজ আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
সাবেক এই আইজিপির আইনজীবী জানান, আগে তাঁর মক্কেলের মোট ৯২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। আজ আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলো। এ নিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের মোট ৯৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রাজধানীর বাড্ডা থানায় করা আবদুল জব্বার হত্যা মামলায় আনিসুল হককে আজ আদালতে হাজির করে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত ও আইনজীবী সূত্র জানায়, এ নিয়ে আনিসুল হকের মোট ৫১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলো।

রাজধানীর ভাটারা থানায় করা মনির হোসেন হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমানকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলায় তাঁকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। আদালত তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত ও আইনজীবী সূত্র জানায়, ১০টি মামলায় সব মিলিয়ে সালমান এফ রহমানের ৫৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক। ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন।