People Voice
পরিবেশ ও জলবায়ু

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে করণীয়

বজ্রপাত থেকে প্রাণ রক্ষায় তাজা তালগাছ কেটে ডোঙা বানানো ও বিক্রি কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেন গওহার নঈম ওয়ারা। বলেন, বজ্রঝড়ের সময় পায়ে রাবারের জুতা থাকলে সুরক্ষা পাওয়ার উদাহরণ আছে। নেপালে এমন চর্চা শুরু হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াসির আরাফাত বজ্রপাতে মৃত্যুর হার কমানোর জন্য ৩০-৩০ নিয়মের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এটি হলো—বজ্রপাতের ঝলকানি দেখা ও শব্দ শোনার মাঝে যদি ৩০ সেকেন্ড বা তার চেয়ে কম সময় পাওয়া যায় তাহলে জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে হবে।

সেইসঙ্গে আরও যেসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে—

  • ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু জায়গায় না থাকাই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোনো দালানের নিচে আশ্রয় নেওয়া যায়।
  •  উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • খোলা জায়গায় অনেকে একত্রে থাকার সময় বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যেতে হবে।
  • বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকা যাবে না। জানালা বন্ধ রাখতে হবে। ঘরের ভেতর থাকতে হবে।
  • ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলতে হবে। বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না। এমনকি ল্যান্ড লাইনের টেলিফোনও স্পর্শ করা যাবে না।
  • টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরা যাবে না। বজ্রপাতের আভাস পেলে আগেই এগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
  • বজ্রপাতের সময় রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করতে হবে কিংবা গাড়ি কংক্রিটের ছাউনিযুক্ত কোনো নিরাপদ জায়গায় নিতে হবে।
  • বজ্রপাত অব্যাহত থাকলে সে সময় রাস্তায় বের না হওয়াই মঙ্গল। এই সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে, উপরন্তু কাছাকাছি কোথাও বাজ পড়লে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হওয়ার আশংকা থেকে যায়।
  • কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখতে হবে। খোলা মাঠে থাকলেও পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়তে হবে।

Related posts

বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে

News Desk

‘বায়ুদূষণে’ বাড়ছে বজ্রপাত

News Desk

ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি

News Desk