গরমের আছে নিজস্ব কড়া ভাষা। আবহাওয়া দিয়েই বলে দিচ্ছে সকাল থেকে রাত কীভাবে যাপন করবেন। নিয়মের নড়নচড়ন হলেই পড়তে হচ্ছে অস্বস্তিতে। ঋতু অনুযায়ী পোশাক বেছে নেওয়াটা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পোশাকের রং আর নকশাও এখানে জরুরি বিবেচ্য।
এ সময় দিনের পোশাকের রং হবে এক রকম, রাতের আরেক। তবে কিছু রং আছে, যেগুলো যেকোনো সময়ই মানিয়ে যাবে। যেমন প্যাস্টেল ধাঁচের রংগুলো চোখের আরাম আর মনের প্রশান্তি—দুটোই দেবে।
এ বছর বিশ্ব ফ্যাশনে হালকা ও গাঢ় রঙের প্যালেট বেছে নেওয়া হয়েছে। আছে বাটার ইয়েলো, গোলাপির নানা হালকা শেড, আইসি ব্লু, মোকা মুজ, চেরি রেড, সোনালি, রুপালি ইত্যাদি রং। আমাদের দেশের পটভূমিতে চিন্তা করতে গেলেও হালকা রঙের নকশাই এখন ঘুরেফিরে দেখা যাবে।
গাঢ় রঙের পোশাক পরলেও সেটার উপকরণ হতে হবে পাতলা বা হালকা। মসলিন, জামদানি, অরগানজা, সুতি বা খাদির পোশাকে দাওয়াতে বা সারা দিন থাকা যাবে ফুরফুরে মেজাজে, স্নিগ্ধতায়।
রোদের তীব্রতায় যেন হাঁপিয়ে ওঠছে পুরো দেশ। গরমের এই মৌসুমে উষ্ণতা এবং আর্দ্রতার ধাক্কা সামাল দিতে পোশাকও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চাই বিশেষ নজর। সেক্ষেত্রে সুতি বা এর সমতুল্য কোনো হালকা পোশাক পরলে ভালো। তবে শুধু ফ্যাব্রিক নয়, পোশাকের রঙের ওপরেও নির্ভর করে শারীরিক অস্বস্তির বিষয়টি। অনেকেই গরমে কালো রঙের পোশাক এড়িয়ে চলেন। বরং সাদা ঘেঁষা পোশাক বেশি পরেন। যদিও এই নির্বাচন একেবারে ভুল নয়।
বিজ্ঞান বলছে, সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। সব বস্তুর এই বিকিরণ শোষণ করার ক্ষমতা সমান নয়। সাদা রঙের তাপ বিকিরণের ক্ষমতা সবচেয়ে কম। অন্য দিকে, কালো রঙের পোশাক তাপ বিকিরণ করে সবচেয়ে বেশি। সাদা রঙের পোশাক তাপ কম শোষণ করে বলে অস্বস্তিও কম হয়।
তবে গরম বলে তো আর সাজের সঙ্গে আপস করা চলে না। উষ্ণতার পারদ চড়ছে বলে উৎসব-পার্বণও বন্ধ হয়। তাই শুধু সাদা রঙের পোশাক পরে গোটা গরমকাল কাটিয়ে দেওয়া মুশকিলের। তাই এই ভ্যাপসা গরমে নিজেকে ঠাণ্ডা রাখতে সাদার পাশাপাশি আলমারিতে জায়গা নিতে পারে আরও পাঁচ রং।